বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রথমবারের মতো দু’দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট আয়োজন করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এ সামিটের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে দুই দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম দিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। পোশাকশিল্প এবং এ শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়েও উদ্যোক্তাদের কাছে জানতে চান তারা।
দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতা শেয়ার। সম্মেলনে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিল্পের অতীতের অভিজ্ঞতা এবং আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা পোশাক খাতে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা এবং গ্র্যাজুয়েটরা কীভাবে এ খাতে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, সে সম্পর্কে পরামর্শও দেন। চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সরাসরি বিজিএমইএ অফিসে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। এসব জীবনবৃত্তান্ত সম্ভাব্য নিয়োগের জন্য সদস্য কারখানাগুলোয় পাঠানো হবে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে।
সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জি স্টারের রিজিওনাল অপারেশনস ম্যানেজার শফিউর রহমান, ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টেকনোলজিসের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ।
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম, পরিচালক নীলা হোসনে আরা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, তৈরি পোশাক খাত পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে। কেননা এ শিল্প শ্রমনির্ভর। পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং নেতৃত্বস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাই ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য।’
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) সহযোগিতায় দুদিনব্যাপী বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে। কেননা এ শিল্প শ্রমনির্ভর। পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং নেতৃত্বস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাই ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য।’
অনুষ্ঠানে জ্ঞানার্জন, নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর জোর দিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘এগুলো শুধু ব্যক্তিপর্যায়ে উপকার সাধন করে না বরং সমগ্র পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি এবং সাসটেইনেবিলিটিতে অবদান রাখে।’
বৈশ্বিক পোশাকের বাজারের গতি-প্রকৃতি তুলে ধরে বৈশ্বিক বাজারের নিত্যনতুন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্ঞান ও দক্ষতায় শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে গ্র্যাজুয়েটদের নতুন সুযোগ গ্রহণ করার, সম্ভাবনা উন্মোচন করার এবং ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি ও দেশের পোশাক শিল্প খাতের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার ওপর জোর দেন।
বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি পোশাক খাতে ক্যারিয়ার গড়তে গ্র্যাজুয়েটদের উৎসাহিত করেন। আজ রোববার শেষ হচ্ছে ক্যারিয়ার সামিট।