বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের জন্য মালোয়েশিয়া কেবল একটি বড় হালাল বাজারই নয় দেশটির পেনাং হতে পারে দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের জন্য সম্ভাবনাময় গন্তব্য। প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যেতে ভ্রতৃত্বের বন্ধনে এগিয়ে যাচ্ছে মালোয়েশিয়া। আগামীতে এই সম্পর্ক আরো অটুট থাকবে, এমন আশাবাদের মধ্য দিয়ে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো শো-কেস মালোয়েশিয়া।
বাংলাদেশ-মলোয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মালোয়েশিয়ার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাজনা মোহাম্মাদ হাশিম বলেন, রবি এবং ইডকো’র বিনিয়োগ শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মালোয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরর স্বারক।
তিনি বলেন,মুক্ত অর্থনীতির সুবাতাসে আর্থসামাজিক অংশীদারিত্ব বাংলাদেশ ও মালোয়েশিয়া এর সম্পর্ককে দিন দিন সুরক্ষিত করছে। ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় রাষ্ট্রদূত জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বারক হিসেবে আগামী ১০-২০ সেপ্টেম্বর হবে মালোয়েশিয়া-বাংলাদেশ খাদ্য মেলা।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় মালোয়েশিয়া। শুরু থেকেই বাংলাদেশ মালোয়েশিয়ার অর্থনৈতিক কৌশল অনুসরণ করছে। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে আমাদের তুলনা হয় ভিয়েতনামের সঙ্গে। মালোয়েশিয়া সবসময়ই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদার ভূমিকা রেখেছে।
হালাল সম্প্রীতির বন্ধন জোরদারের ফ্যাশন শো, ইনুস্ট্র মেন্টাল ও ইল্যুশনাল পরিবেশনার মতো নানা উপস্থাপনায় এবারের আয়োজন মুগ্ধ করে দর্শকদের।
অনুষ্ঠানে মালোয়েশিয়ায় ৮০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে পার্টেক্স এর আমাদানি-রপ্তানিতে ভূমিকা রাখায় আকিজবশির গ্রুপ, ট্রেড অ্যান্ড কমার্স বিভাগে সম্মাননা পেয়েছে প্রাণ আরএফএল, সেবা শিল্পে অনন্য ভূমিকার জন্য রবি আজিয়েটা গ্রুপ এবং হেলথ ট্যুরিজমের জন্য গ্রিনডেল্টা অ্যাসিস্ট এর নারী উদ্যোক্তা ফারহান চৌধুরী-কে দেয়া হয় বিএমসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। শো-কেসে নিজেদের পণ্য ও সেবা তুলে ধরে ১৫টি প্রতিষ্ঠান।