বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি বড় সমস্যা। আইপিসিসি (ইন্টারগভর্ণমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইভ) অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির উপর তীব্র প্রভাব পড়তে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যেই এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বঙ্গোপসাগেরর উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে দুর্যোগ ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্টত লক্ষণীয়। উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ তাদের জ্ঞান ও সম্পদ দিয়ে সাধ্যনুযায়ী এই প্রভাব মোকাবিলা করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও মোকাবিলা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা জোরালোভাবে উত্থাপিত হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের দেশসমূহ প্রশাসনিকভাবে তাদের তৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ব্রাক এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার উদ্যোগে ১৮ জুন রাজধানীর গুলশানস্থ সিক্স সিজেন হোটেল দিন-ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বঙ্গোপসাগর এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা শীর্ষক ১ম জাতীয় কর্মশালা-এর আয়োজন করা হয়েছে। ওয়ার্কশপের মূল উদ্দেশ্য হলো-প্যারিস এগ্রিমেন্টের আলোকে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাম্প্রতিক ধারণা,
উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচনা ও শেয়ার করা এবং একটি কমন অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম তৈরি করা। আমাদের সামনে এসডিজিজির যে লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সব ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই আমলে নিতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলার পথ বের করতে হবে। বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় যে সকল অঘটন ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটতে পারে, সেই আলোকে সেই সব অঞ্চলের জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ঝুঁকি থেকে কী ভাবে বাঁচানো যায় বা দুর্যোগ প্রতিহত করা যায়, সেই লক্ষ্যে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ওয়ার্কশপে অর্থনীতি, পরিবেশ, জীবনমানের উপর জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রভাব বিষয়ে মোট চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।যেখানে দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
অধিবেশনগুলি হলো:
Session 1: Climate Resilient Housing and WASH
Session 2:Climate Induced Migration
Session 3:Water, Sanitation and Hygiene (WASH)
Session 4:Agricultural Practice in the Coastal Area
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী মোঃ আব্দুল মান্নান, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব তানভীর শাকিল জয়, এমপি।
সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ নেগোসিয়েশন টিমের কোঅর্ডিনেটর ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের (বিইউপি) নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মানিস আগরাওল।