বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা: ভালো কাজের জন্য জাতীয় ঐক্য যেমন প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য নয়, ভালো কাজের জন্য কৌশলের মতভেদ থাকা উচিত নয় উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের নেতৃত্ব ভালো কাজের জন্য।
আমার বিশ্বাস মানুষ এখন উন্নয়নে আগ্রহী। মানুষ এখন গণতন্ত্র নয়, তারা এখন উন্নয়ন চায়।
আমাদের গণতন্ত্রের চেয়ে খাবারের ওষুধ আর টয়লেট বেশি জরুরি। করদাতার আয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্তে এ কথা জানানো হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে দরিদ্র মানুষ আছে তা ঠিক কিন্তু এখন সেই সংখ্যা দিন দিন কমেছে। এখন কেউ না খেয়ে মারা যায় না।
এক দশকে দারিদ্র অর্ধেকে নেমেছে। ২০০১-১০ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৪০-৪৫ শতাংশ, তা এখন কমে ১৮ শতাংশে নেমেছে। অতি দরিদ্রের হার নেমেছে চার শতাংশে। সরকার শহর-গ্রামে খাবার পানি, উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করছে। আগের তুলনায় স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্য বেড়েছে আমরা সেটা অস্বীকার করিনি। অস্বীকার করে আমরা পার পাবো না। যাদের কাছে সম্পদ আছে, অর্থ আছে, শিক্ষা আছে, মেধা আছে, যাদের যোগাযোগ শক্তিশালী তারা সম্পদ অর্জন করেছে। তারাই ওপরে উঠেছে, অধিক সম্পদশালী হয়েছে। যারা শূন্যের কোঠায় আছে, যাদের কিছুই নেই, ভূমিহীন, ভিটাহীন, সংযোগহীন, যোগাযোগহীন তাদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তারা কেউ না খেয়ে নেই।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত সূচনা প্রকল্পের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার উদারনীতিতে বিশ্বাস করে। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে। সরকার সবার উন্নয়নের জন্য কাজ করে। দেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্য অনেক কমেছে। সামনের দিনে আরও কমবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য কমিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার পর সরকার নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধখাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও ১৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করে। সব মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। সেলক্ষ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্য উৎপাদন করছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদন করেছে।
অনুষ্ঠানে মূল সূচনা কর্মসূচির চূড়ান্ত মূল্যায়নপত্র উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ইঙ্কা বারনেট।