সিনিয়র রিপোর্টার:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত বাঁচলে দেশ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা এসএমইতে চাহিদার তুলনায় কম অর্থ দিচ্ছে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সামগ্রিকভাবে এ শিল্পে মোট জিডিপিতে ভালো অবস্থান রয়েছে। এসএমই খাত বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আর দেশ বাঁচলে আমরা (উদ্যাক্তা ও ব্যবসায়ী) বাঁচবো।
ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার বলেন, অনেক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করে থাকে। তবে চাহিদার তুলনায় খাতটি অনেক কম অর্থের জোগান পায়। সম্ভাবনা থাকার পরও বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এসএমই খাত দেশের শিল্পে কর্মসংস্থান এবং মূল্য সংযোজনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে। এসএমই দেশের জিডিপিতে ২৮ শতাংশ অবদান রাখে। খাতটি বেসরকারি খাতে ৯০ শতাংশ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এটি দেশের দারিদ্র্য কমিয়ে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, অন্যান্য দেশের জিডিপিতে এসএমই খাত আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখে। ইন্দোনেশিয়ায় মোট জিডিপির ৬১ শতাংশ, চীনে ৬০ শতাংশ, জাপানে ৫৫ শতাংশ, জার্মানিতে ৫৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৪৫ শতাংশ এসএমই খাতের অবদান। আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জিডিপিতে এসএমইর অবদান বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় কূটনৈতিক ও খাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা বক্তব্য রাখেন।