শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Wellcome to our website...dd
এ সপ্তাহেই আমদানিকৃত ডিম দেশে আসবে:বাণিজ্যমন্ত্রী
/ ৫৩ Time View
Update : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

সিনিয়র রিপোর্টার:

আগামী তিন-চারদিনের মধ্যেই আমদানিকৃত ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।

আজ রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক দেশব্যাপী অক্টোবর মাসের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের নিকট চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫ টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।

এপ্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আলু আমদানির অনুমতি দেয়া হবে কিনা অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরো ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নিবে সরকার।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পিঁয়াজ দেয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা গরীব-দুখী, অসহায় মানুষের যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তাদের কথা বিবেচনা করে এককোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানিকৃত পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এককোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেরও অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান পিএসসি এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page