রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করছে
/ ৫৮ Time View
Update : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩, ৮:২০ পূর্বাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে উন্নত করতে সরকার এবং অন্যান্য সকল অংশীজনের সাথে
কার্যকর সমন্বয় ঘটাতে জাতীয় পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আর্থিক সহায়তায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে মা, কিশোর-কিশোরী এবং শিশুদের টেকসই পুষ্টি অবস্থা এবং অপুষ্টির চ্যালেঞ্জসমূহ নিরসনে কাজ করছে।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাতীয় ও স্থানীয় উভয় পর্যায়ে পুষ্টি সুশাসন ব্যবস্থা জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে। যা দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

ডিসেম্বর ২০২১ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত নিউট্রিশন ফর গ্রোথ (এনফরজি) সামিট এ কমিশন অপুষ্টির সকল অবস্থা দূরীকরণে ২০২১-২০২৪ সালে ২.৫ বিলিয়ন ইউরো প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এই মানবিক সহায়তা জরুরী প্রয়োজনীয়তা, অপুষ্টির কারণসমূহ নিরসন এবং ইইউ সহযোগী দেশসমূহে দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য পদ্ধতি রূপান্তর এ অবদান রাখবে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হুইটলী বলেন, ‘ কোভিড পরবর্তী সময় থেকেসমতা, সহনশীলতা এবং টেকসই খাদ্য এবং স্বাস্থ্য পদ্ধতির দিকে নজর দেয়া খুবই জরুরী কেননা এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সহযোগী সংস্থা, যেমন- কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড দেশের খাদ্য পন্থা, সামাজিক আচরণ পরিবর্তন এর মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভাবে অবদান রাখছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও অপুষ্টি মুক্ত ভবিষ্যত তৈরী করতে চাই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিরাপদ খাদ্যের দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের সহযোগী হতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এই একত্রে ঢলা আরো অগ্রসর
করতে চাই ।

২০২০ সাল থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর নেতৃত্বে কনসোর্টিয়াম সহযোগী (ওয়াটার
এইড, জেজেএস এবং রূপান্তর) মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে ক্ষতিগ্রন্থ উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে “পুষ্টি উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সমন্বিত প্রকল্প” (ক্রেইন) বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি পুষ্টি উন্নয়নে চারটি সেক্টর- পুষ্টি, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ওয়াশ এ উদ্ভাবনী, সহনশীল এবং স্থানীয় পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন মডেল স্থাপন করতে সমন্বিত ব্যাপকতা এবং বহুখাতভিত্তিক পন্থায় কাজ করছে।

কিশোর-কিশোরী ফোরাম,পুষ্টি সুশাসন প্রচারে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্থানীয় জনগণ, সরকারী দপ্তরসমূহ, বেসরকারী খাত,গবেষক এবং সুশীল সমাজকে সংযুক্ত করেছে। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (এনপিএএন ২) বাস্তবায়ন করতে জাতীয় পুষ্টি পরিষদ এর সাথেও কাজ করছে। সরকারী বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে জনগণ এবং বিভিন্ন সরকারী দপ্তরসমূহকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমন্বিত পন্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মার্নিশ কুমার আগরওয়াল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বলেন, বাংলাদেশ পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার অপুষ্টি নিরসনে কঠোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু সাম্প্রতিক মহামারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণের ক্ষুধা ও পুষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘বাংলাদেশে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা কেন্দ্রিক সুশাসন জোরদার করতে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আমরা সব সংস্থা, সরকার, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেক্টর সমূহকে আহবান জানাচ্ছি।’

অপুষ্টি নিরসনে সরকারের কঠোর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে পূর্বের অপুষ্টি সমস্যা এখনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড অতি দরিদ্র সীমায় বসবাসকারী জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে নগর এবং গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্য ও খাদ্য পদ্ধতি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দাতা সংস্থাসমূহ,সরকার, নীতিনির্ধারক, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, কিশোর-কিশোরী ফোরাম সমূহকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা পূরণে সহায়ক ভুমিকা রাখব।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page